নাক ডাকার সমস্যা দূর হবে খাদ্যাভাসের পরিবর্তনে

অল্পবিস্তর নাক ডাকে প্রায় সবাই কিন্তু সেটা মাত্রাধিক হলেই সমস্যা। কানের উপর বালিশ দিয়ে ঘুমনোর চেষ্টা, রাত্রে ভাল ঘুম না হওয়ার সারাদিন ধরে ক্লান্তি, সঙ্গীর সঙ্গে না শুয়ে অন্য ঘরে শোয়া, পরস্পরকে দোষারোপ করা- এই রকম নানা যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা থেকেই মুক্তি পেতে পারেন আপনার খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন এনে।

 

তবে তার আগে জেনে নেই আমাদের নাক ডাকার কারণ। নাক ডাকা তখন বেড়ে যায় যখন আমাদের গলার মাংসপেশীগুলো শিথিল হয়ে যায়, জিহ্বা পেছন দিকে চলে যায় এবং কণ্ঠনালী সরু হয়ে যায়। এর ফলে কণ্ঠনালীর দেওয়ালগুলো কাঁপতে শুরু করে আর নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নাকে আওয়াজ হয়। এবারে রইল সেই ৬ টি খাবারের নাম, যা নাকডাকা কম করতে সাহায্য করবে-

 

সোয়া মিল্ক- আমদের অনেকের ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি থাকে। এটা আমাদের অনেকের অজান্তেই থাকে। গরুর দুধে এই ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি অনেক বেশী পরিমাণে হয় এবং তার থেকে যে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়, যার ফলে ন্যাসাল প্যাসেজ স্ফীত হয়ে উঠতে পারে। এর থেকেই নাক ডাকতে পারে। এছাড়াও গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণে মিউকাস থাকায় তা রেসপিরিটরি সিস্টেমের জন্যও ভালো নয়। সোয়া মিল্কে এসব সমস্যা নেই।

 

চা- চা খেলে কনজেশন এবং শ্লেষ্মা কমে। তার ফলে নাক ডাকা কমে। চা খাবার সময় যে বাষ্প নির্গত হয় তা ন্যাসাল প্যাসেজকে প্রশমিত করে। এটি মিউকাসকে তরল করে যার ফলে নাক ডাকার সমস্যার উপশম হয়।

 

মধু- মধু আপনার কণ্ঠনালীকে মসৃণ করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি দু’রকমের গুণই আছে। যা স্বরনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমের আগে চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে জিভের তৃপ্তির পাশাপাশি নাক ডাকাও কমবে।

 

হলুদ- অনেক সময়ই নাক ডাকার কারণ হল ইনফ্ল্যামেশন। যার ফলে আমদের কন্ঠনালী বা নাকে যথেষ্ট পরিমাণে হাওয়া চলাচলের জায়গা থাকে না। হলুদ অত্যন্ত ক্ষমতশালী অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডান্ট কারকুমিন যা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে হলুদ খেলে খুব একটা কাজে লাগে না। যে কোনও পানীয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

 

মাছ- মাছ খাওয়ার চেয়েও বেশী গুরূত্বপূর্ণ রেড মিট কম খাওয়া। রেড মিটের স্যাটুরেটেড ফ্যাটে থাকে যা গলার টিসু আর সাইনাসকে স্ফীত করে তোলে। অন্যদিকে মাছ খেলে (বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ) তার থেকে যে ফ্যাটি অ্যাসিড নির্গত হয়, তা ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে।

 

পিঁয়াজ- এটাকে নাকডাকার সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ মানেন অনেকেই। পিঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি পদার্থ থাকে যা ন্যাসাল প্যাসেজকে পরিষ্কার রেখে বেশী পরিমাণে হাওয়া চলাচলে সাহায্য করে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ‘যাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই তারাই নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করছে’

» বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জরুরি সহায়তার নির্দেশ বিএনপির

» মাইলস্টোন কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: উদ্ধার অভিযানে সশস্ত্র বাহিনীও

» জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে ২২ জনকে

» উত্তরার বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন শায়খ আহমাদুল্লাহ

» রাজধানীতে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত : প্রধান উপদেষ্টার শোক

» একের পর এক বের করে আনা হচ্ছে আহত ও দগ্ধ দেহ, আল্লাহ আমাদের রহম করুন : সাদিক কায়েম

» অন্তর্বর্তী সরকার ক্রমান্বয়ে একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে যাচ্ছে: রিজভী

» রাজধানীতে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১, উদ্ধার ৪

» নভেম্বর পর্যন্ত সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে : কৃষি উপদেষ্টা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নাক ডাকার সমস্যা দূর হবে খাদ্যাভাসের পরিবর্তনে

অল্পবিস্তর নাক ডাকে প্রায় সবাই কিন্তু সেটা মাত্রাধিক হলেই সমস্যা। কানের উপর বালিশ দিয়ে ঘুমনোর চেষ্টা, রাত্রে ভাল ঘুম না হওয়ার সারাদিন ধরে ক্লান্তি, সঙ্গীর সঙ্গে না শুয়ে অন্য ঘরে শোয়া, পরস্পরকে দোষারোপ করা- এই রকম নানা যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা থেকেই মুক্তি পেতে পারেন আপনার খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন এনে।

 

তবে তার আগে জেনে নেই আমাদের নাক ডাকার কারণ। নাক ডাকা তখন বেড়ে যায় যখন আমাদের গলার মাংসপেশীগুলো শিথিল হয়ে যায়, জিহ্বা পেছন দিকে চলে যায় এবং কণ্ঠনালী সরু হয়ে যায়। এর ফলে কণ্ঠনালীর দেওয়ালগুলো কাঁপতে শুরু করে আর নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নাকে আওয়াজ হয়। এবারে রইল সেই ৬ টি খাবারের নাম, যা নাকডাকা কম করতে সাহায্য করবে-

 

সোয়া মিল্ক- আমদের অনেকের ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি থাকে। এটা আমাদের অনেকের অজান্তেই থাকে। গরুর দুধে এই ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি অনেক বেশী পরিমাণে হয় এবং তার থেকে যে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়, যার ফলে ন্যাসাল প্যাসেজ স্ফীত হয়ে উঠতে পারে। এর থেকেই নাক ডাকতে পারে। এছাড়াও গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণে মিউকাস থাকায় তা রেসপিরিটরি সিস্টেমের জন্যও ভালো নয়। সোয়া মিল্কে এসব সমস্যা নেই।

 

চা- চা খেলে কনজেশন এবং শ্লেষ্মা কমে। তার ফলে নাক ডাকা কমে। চা খাবার সময় যে বাষ্প নির্গত হয় তা ন্যাসাল প্যাসেজকে প্রশমিত করে। এটি মিউকাসকে তরল করে যার ফলে নাক ডাকার সমস্যার উপশম হয়।

 

মধু- মধু আপনার কণ্ঠনালীকে মসৃণ করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি দু’রকমের গুণই আছে। যা স্বরনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমের আগে চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে জিভের তৃপ্তির পাশাপাশি নাক ডাকাও কমবে।

 

হলুদ- অনেক সময়ই নাক ডাকার কারণ হল ইনফ্ল্যামেশন। যার ফলে আমদের কন্ঠনালী বা নাকে যথেষ্ট পরিমাণে হাওয়া চলাচলের জায়গা থাকে না। হলুদ অত্যন্ত ক্ষমতশালী অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডান্ট কারকুমিন যা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে হলুদ খেলে খুব একটা কাজে লাগে না। যে কোনও পানীয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

 

মাছ- মাছ খাওয়ার চেয়েও বেশী গুরূত্বপূর্ণ রেড মিট কম খাওয়া। রেড মিটের স্যাটুরেটেড ফ্যাটে থাকে যা গলার টিসু আর সাইনাসকে স্ফীত করে তোলে। অন্যদিকে মাছ খেলে (বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ) তার থেকে যে ফ্যাটি অ্যাসিড নির্গত হয়, তা ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে।

 

পিঁয়াজ- এটাকে নাকডাকার সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ মানেন অনেকেই। পিঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি পদার্থ থাকে যা ন্যাসাল প্যাসেজকে পরিষ্কার রেখে বেশী পরিমাণে হাওয়া চলাচলে সাহায্য করে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com